Kiosk অধ্যয়ন গাইড আৰু কৌশল

সমস্যা সমাধানের ধারা

সমস্যার সমাধান এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা

তথ্য সংগ্রহঃ

অংশীদার

একটা সমস্যা এবং তার সমাধান যেকোনো একটার সঙ্গে কোনো প্রকারে জড়িত ব্যক্তি, সমষ্টি, সংগঠন ইত্যাদি কিন্তু অংশীদার হতে পারে। কিন্তু আরম্ভ হবে তোমার নিজের থেকেই । এ নিয়ে যারা সিদ্ধান্ত নিতে পারে বা কোনো ধারণা দিতে পারে সেই সব কাছের লোকদের চিহ্নিত করাটা জরুরি।

প্রামাণিক তথ্য-পাতি

  • গবেষণা
  • পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং অধ্যয়নের থেকে পাওয়া ফলাফল
  • বিশেষজ্ঞ এবং নির্ভরযোগ্য উৎসের সঙ্গে সাক্ষাৎ।
  • অতীত বা বর্তমানের ঘটনাক্রমের ব্যক্তিগত নিরীক্ষণ বা অন্যের থেকে সংগৃহীত বিবরণ।

পরিসীমা

অবস্থার পরিসীমা বা বাধ্যবাধকতাকে পরিবর্তন করাটো বড় জটিল। এর মধ্যে টাকা পয়সার সম্পর্কিত বা অন্যান্য সুযোগ সম্পদের কথাটাও থাকবে। যদি সমস্যা সমাধানের বেলা খুব বেশি বাধ্য-বাধকতা বা সীমাবদ্ধতা থাকে তবে সেগুলো নিজেই আবার এক একটা সমস্যা হিসেবে দেখা দিতে পারে।

মতামত এবং ধারণা

 তোমার সফলতার জন্যে যারা সিদ্ধান্ত নেন , সহযোগী কমিটি , দল বা অন্যান্য শক্তিশালী গোষ্ঠীর মতামত যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। মতামতের বেলা সত্য, পক্ষপাত বা যুক্তিহীন ধারণাগুলোকেও বিবেচনার আওতাতে নিয়ে আসা দরকার।

সমস্ত রকম তথ্য-পাতি গোটানো না হওয়া অব্দি অনুভব বা ধারণাগুলো সমস্যাটোনে নেড়েটেরে দেখতে সাহায্য করে। কিছু কথা বিশ্বাস থেকেই গ্রহণ করে নিতে হয় । অবশ্যে এমন অনুভব বা ধারণার ক্ষতিকর দিকও রয়েছে। তাই, যেভাবে আছে সেভাবে নিয়ে কাজ শুরু করে এগুতে এগুতে ভুল দেখলেই সেই বিশ্বাস সঙ্গে সঙ্গে ছেড়ে এগুনো উচিত।

পদক্ষেপ ৩। বিকল্পের বিকাশ

 তোমার সমস্যাটিকে নানা দিক থেকে পর্যবেক্ষণ করো , বিচার –বিবেচনা করো । আগে ভাবোনি এমন নতুন দৃষ্টিকোনের থেকে বিচার করে দেখো। মাথা খাটিয়ে বা তাড়াতাড়ির মধ্যে ভেবে বের করা বিকল্পগুলো কখনো হালকা বা মনে হতে পারে যেন ওজন নেই। কিন্তু ঠিক তার জন্যেই কখনোবা সাঙ্ঘাতিক একটা উদ্ভাবনী প্রক্রিয়ার পথ খুলে যেতে পারে। বিকল্পগুলোর একটা তালিকা যদি করো তবে তার সম্ভাবনার দিকেও একটা খোলা মন রেখে ভাবনা চিন্তা করতে থেকো।

  • আরো তথ্যের দরকার হতে পারে।
  • সেগুলোর থেকে নতুন সমাধান পাওয়া যেতে পারে।
  •  বিকল্পগুলোকে কি এক সঙ্গে করে ফেলা যেতে পারে?
  • বিকল্পগুলোর মধ্যে বৈপরীত্য থাকতে পারে।
  • সম্ভাবনাপূর্ণ বা উত্তেজনাপূর্ণও হতে পারে।

বিকল্পের গুরুত্ব নির্ণয়

সম্ভাব্য বিকল্পগুলোর একটা তালিকা একটা করে নিয়ে নিরপেক্ষভাবে তার মূল্যায়ন করো । তা যতই আবেদনময় বা বিস্বাদপূর্ণ হোক।

সমস্ত দিক বিবেচনা করো । ভালো সমাধান একটা বেরিয়ে যাওয়াটা কঠিন কিছু নয়। কিন্তু কাজ দেবে না যদি তার জন্যে দরকারি সুযোগ সম্পদ না মেলে, যদি যারা একে গ্রহণ করবার তারা না করে, অথবা যদি এ আবার আরেক নতুন সমস্যা ডেকে আনে।

সর্বোত্তম বিকল্প নির্বাচন করো

  • কোনো বিকল্পকেই সমস্যার সঠিক সমাধানের উপায় বলে ভেবোনা। যদি তেমন হয় তবে সমস্যা বলে আর কিছু থাকবেই না।
  • তোমার সহজাত জ্ঞান বুদ্ধিকে অবহেলা করো না । কাজের ধারাতে এগিয়ে যেতে আত্মার আহ্বান শুনতে হয়।
  • তুমি ভরসা করতে পারো এমন কারো কাছে যাও। কেননা, উনি যেমন তোমাক চোখে না পড়া ব্যাপারগুলো দেখিয়ে দিতে পারেন। তেমনি পারেন কোনো সমাধানের দিশা দিতে।
  • আপস করো। সমস্যা বা তার বিকল্প সমাধানগুলোর উপরে যখন তোমার পূর্ণদখল এসে যাবে তখন আপসের একটা মনোভাবও থাকা চাই। কারণ নিজেরটাকে খামচে ধরে থাকলে কোনো সমাধান বেরুবে না।

বিকল্পের গুরুত্ব বা প্রাধান্য নির্ণয় কৌশল

Thomas Saaty's Analytical Hierarchy Matrix.
টমাচ স্যাটি’র Analytical Hierarchy Matrix
অনুযায়ী উলম্বে ও আনুভূমিক কোঠাতে বিকল্পগুলোকে তালিকাবদ্ধ করো । এখন বিকল্প ‘ক’এর থেকে শুরু করে কৌণিকভাবে প্রতিটি ঘরের মধ্যি দিয়ে গিয়ে , ছবিতে যেমন দেখানো হয়েছে তেমনি,প্রতিটি বিকল্পকে বাকি ক’টির সঙ্গে তুলনা করে যোগ্যতা অনুযায়ী মূল্যায়ন করো--

বিকল্পগুলো

মুঠ

স্থান

বিকল্প

৪র্থ

বিকল্প

২য়

বিকল্প

১ম

বিকল্প

৩য়


যখন বিবেচনাধীন একটা বিকল্পের তুলনামূলকভাবে অন্য বিকল্প ক’টির থেকে বেশি মূল্য রয়েছে বলে মনে হবে তখন তাকে ১ নম্বর দেবে।
যখন একটা বিকল্পের তুলনামূলকভাবে অন্য বিকল্প ক’টির থেকেকম মূল্যবান বলে মনে হবে তখন তাকে ০ দেবে

এখন কোনটা কত নম্বর পেল যোগ করে দেখো। যেটি বেশি নম্বর পাবে উপযুক্ত পদ্ধতি অনুযায়ী সেইটিই গুরুত্বের হিসাবে ১ম স্থানে থাকবে। উপরে দেখানো পদ্ধতিতে বিকল্প ‘গ’ প্রথম স্থান লাভ করে গ্রহণযোগ্যতা প্রতিষ্ঠিত করেছে।

SFF Matrix:
যথাযোগ্যতা, সম্ভাব্যতা , শিথিলতা

যথাযোগ্যতা

সম্ভাব্যতা

শিথিলতা

মুঠ

বিকল্প ক

বিকল্প খ

বিকল্প গ

বিকল্প ঘ

এই পদ্ধতি মতেও বিকল্পের গুরুত্ব নির্ণয় করা যায়। ১এর থেকে  ৩ অব্দি মূল্য স্থির করো...

  • যথাযোগ্যতা:
    বিকল্পটি নীতি সম্পর্কিত না কাজ সম্পর্কিত?
     গুরুত্ব দেবার মতো যোগ্যতা রয়েছে না নেই?
    প্রতিক্রিয়াটা যথোচিত না চরম কিছু?
  • সম্ভাব্যতাঃ
    সমস্যাটি সমাধানের বেলা  বিকল্পটির জন্যে কী কী উপায় বা সঙ্গতির প্রয়োজন হবে?
    ( সহজে পাওয়া যাবেতো?)
    এই বিকল্পটি যে সমস্যার সমাধান করবে তার  সম্ভাবনা কতটা ?
  • শিথিলতাঃ
    বিকল্পটির প্রতি তোমার বিশ্বাস এবং দৃঢ়তা কতটা ?
    কার্যক্ষেত্রে অনভিপ্রেত পরিণাম বা নতুন করে  উদ্ভব হতে পারে , তেমন  সম্ভাবনার মুখোমুখি হতে তুমি তৈরিতো? বিকল্পটির  কর্ম প্রক্রিয়া একবার আরম্ভ করার পর যেকোনো পরিণামকে  স্বীকাএ করে নিতে  তুমি কতটা প্রস্তুত?

প্রতিটি  বিকল্পকে এমনি করে বিচার বিশ্লেষণ করে  প্রাধান্যের  ভিত্তিতে বিকল্প নির্ধারণ করো।

প্রকল্প পরিকল্পনা / শ্রেণিকোঠার প্রকল্প পরিচালনা